বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় গোপনে রাতে বাল্যবিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। রান্নাসহ সব আয়োজন সম্পন্ন হওয়ার পর সবাই অপেক্ষায় ছিলেন বরের আসায়। কিন্তু বর আসার আগেই সেখানে হাজির হন নন্দীগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হানুল ইসলাম।
গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে নন্দীগ্রাম ভাটরা ইউনিয়নের ভরমাজগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাল্যবিয়ের অপরাধে জরিমানা ও ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা নেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মণিনাগ গ্রামের চান্দু মিয়ার মেয়ের (১৭) সঙ্গে একই এলাকার ভরমাজগ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন (১৮) বিয়ের আয়োজন করা হয়। রাতে গোপনে ভরমাজগ্রামে কনের মামা ছাইদুল ইসলামের বাড়িতে ওই বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়।
খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন ম্যাজিস্ট্রেট। বরযাত্রী তখনো আসেনি। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় কনের মামাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি কনেকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবেন না বলে অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
নন্দীগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘বাল্যবিয়ে আয়োজনের অভিযোগে কনের মামাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া কনেকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবে না মর্মে অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।’