তালতলী প্রতিনিধি, বরগুনা : বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে গরুকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে ।
সরোজমিনে জানা যায়, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে আক্তার হোসাইন (১৮) শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে তেঁতুলবাড়িয়া মক্তব মাদ্রাসার পরিত্যক্ত লাইব্রেরীতে একই এলাকার হাসান সরদারের গরুর বাছুরকে বলৎকার করেন। বলৎকার করার সময় প্রতিবেশী হারুন ফকির ও তার স্ত্রী সহ আরও ৩/৪ জন বিষয় টা দেখে ফেলেন। বিষয়টি মুহূর্তেই এলাকার ভিতরে জানাজানি শুরু হয়ে যায়।
যুবলীগ নেতা জহির বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তার ছেলেকে নিয়ে হারুন ফকিরের বাড়িতে যায়। এক পর্যায়ে তাদের ভিতর কথার কাটাকাটি হয়, কথার কাটাকাটি একপর্যায়ে জহির ও তার ছেলে আক্তার হোসেন, হারুন ফকির সহ তার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন। মারধরের এক পর্যায় হারুনে স্ত্রী পারভিন বেগমের মাথা থেকে মগজ বের হয়ে যায় এবং হারুন ফকিরের হাত ভেঙে যায়। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাদেরকে তালতলী সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করেন।
স্থানীয় ব্যাক্তি নুর আলম, চম্পা, আলেয়া, রুনু বেগম জানান, আমরা ডাক চিৎকার শুনে এসে দেখি নেতা জহির ও তার ছেলে আক্তার হোসাইন, হারুন ফকির ও তার স্ত্রী পারভিন কে বেধরক মারধর করে ফেলে রাখছে। অনেক রক্তক্ষরণ হলে তাদেরকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। তারা আরো জানান যুবলীগ নেতা জহির এলাকায় অনেক উশৃংখল ভাবে চলাফেরা করে তিনি কিছুদিন আগে তেতুলবাড়িয়া জামে মসজিদের ইমাম সাহেব কে মারধর করেছে আবার জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তিকেও মারধর করছে । আমরা তার কঠিন বিচার চাই।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থ সার্জারি এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডা: মোহাম্মাদ সেলিম মতবর বলেন। অনেক পরিক্ষা শেষে বুঝতে পারলাম ভারী কোন যন্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করায় মাথা ফেটে গেছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে, সুস্থ হতে কিছুদিন সময় লাগবে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম খান বলেন, এ বিষয়ে কেহ কোনো অভিযোগ বা মামলা করেনি , মামলা বা অভিযোগ হলে আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।