ঝালকাঠির গাবখান টোলে ট্রাকচাপায় একটি প্রাইভেটকারে থাকা রাজাপুরের একই পরিবারের ছয়জনসহ ৮ জনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। তাদের মৃত্যুতে চলছে শোকের ছায়া।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে রাজাপুর উপজেলার দক্ষিণ সাউথপুর দাখিল মাদরাসা চত্বরে জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাজায় হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নেন।
পরে নিহত প্রিন্স, তার স্ত্রী ও সন্তানসহ চারজনকে নিজবাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা উত্তর সাউতপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। অপর দুইজনকে তাদের নিজ বাড়ি প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়েছে।
এছাড়া বাকি আটজনের দাফন তাদের নিজ নিজ বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছে। ১৪ জনের মৃত্যুতে তাদের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কবর খননকারীরা জানান, স্বাধীনের পরে এই প্রথম এই এলাকায় একসঙ্গে একই পরিবারের চারটি কবর খননকাজ করলাম।
নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, গাবখান সেতু টোল প্লাজার টোল ঘরটি দূরে সরিয়ে নেয়া হোক অথবা টোল ঘরটি বন্ধ করে দেওয়া হোক এবং এ দুর্ঘটনায় দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে খুলনা-ঝালকাঠি মহাসড়কে গাবখান ব্রিজের টোল প্লাজায় টোলের টাকা পরিশোধ করছিল একটি প্রাইভেটকার। ঠিক সেই সময়ে ঝালকাঠি শহরমুখী একটি সিমেন্টবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা তিনটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেট কারসহ অন্য তিনটি ইজিবাইক ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। মুহূর্তেই নারী-শিশুসহ ১৪ জন মারা যান। সেই প্রাইভেটকারের চালকসহ সাতজন আরোহী নিহত হন।
নিহতরা হলেন- রাজাপুর উপজেলার উত্তর সাউথপুর গ্রামের হাসিবুর রহমান (৩৩), তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার সোনিয়া (২৮), তাদের মেয়ে তাকিয়া আক্তার (৩), তাহমিদ রহমান (০১), সোনিয়ার সদ্য বিবাহিতা বোন উপজেলার সাংগর এলাকার নিপা আক্তার (২২) ও তার স্বামী বিমান বাহিনীর সদস্য ইমরান হোসেন (২৩) ও প্রাইভেটচালক উত্তর উত্তমপুর গ্রামের ইব্রাহিম (৩৫)।