14.7 C
Los Angeles
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৩০, ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪

দুই লাখ টাকা জমা দিলেন এসআই জাহিদের পরিবার

আইন ও আদালতদুই লাখ টাকা জমা দিলেন এসআই জাহিদের পরিবার
খবরটি শেয়ার করুন

ইশতিয়াক হোসেন জনি হত্যা মামলায় রাজধানীর পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ আদালতের নির্দেশে ক্ষতিপূরণের দুই লাখ টাকা জমা দিয়েছেন।

এসআই জাহিদের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আদালত রায়ের সময় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভিকটিম জনির পরিবারকে দুই লাখ টাকা দেওয়ার। সেই নির্দেশ মোতাবেক আমরা দুই লাখ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছি। সেই টাকা জমার রশিদ আদালতে দাখিল করেছি।’

আইনজীবী আরো বলেন, সেই টাকা এখন ভিকটিমের পরিবার আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তুলে নিতে পারবে।

এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর মামলায় পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টুকে তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া পুলিশের দুই সোর্স সুমন ও রাশেদকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এটিই ছিল দেশে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় মামলার প্রথম রায়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট তৎকালীন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হকের আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ এনে নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা করেন। পরে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।

নির্দেশ অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন এ মামলার তদন্ত শেষ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনকে অভিযুক্ত ও পাঁচজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তকালে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টুকে নতুন করে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

অব্যাহতির সুপারিশ করা পাঁচ আসামি হলেন—পল্লবী থানার ওসি জিয়াউর রহমান, এসআই আবদুল বাতেন, রাশেদ ও শোভন কুমার সাহা এবং কনস্টেবল নজরুল।

অন্যদিকে অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন—পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টু, সোর্স সুমন ও রাশেদ।

এ প্রতিবেদন ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আমলে নিয়ে পল্লবী থানার এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টু, পুলিশের সোর্স সুমন ও রাশেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের ইরানি ক্যাম্পে জনির বন্ধু বিল্লালের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের সোর্স সুমন অনুষ্ঠানে মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ সময় জনি ও তাঁর ভাই পুলিশের সোর্স সুমনকে চলে যেতে অনুরোধ করেন। সোর্স সুমন ওই দিন চলে গেলেও পরদিন এসে আবার আগের মতো আচরণ করতে থাকেন। তখন জনি ও তাঁর ভাই তাঁকে আবারও চলে যেতে বললে সোর্স সুমন পুলিশকে ফোন করে তাঁদের ধরে নিয়ে যেতে বলেন।

দুই ভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন পুলিশকে ধাওয়া দিলে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়তে থাকে।

জনি ও তাঁর ভাইকে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। পরে তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। জনির অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আরো খারাপ হলে জনির মা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জনির বাবা মৃত মোস্তফা কামাল। তিনি পেশায় গাড়িচালক এবং ইরানি ক্যাম্পেই থাকতেন। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।

আরও খবর পড়ুন

Check out other tags:

পাঠকের পছন্দ

x