মোঃ মাসুদ রানা (জিয়া) : কর্মক্ষেত্র থেকে ঘনিষ্ঠতা, সুযোগ বুঝে ধর্ষণ; একইসঙ্গে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ। এরপর থেকেই লাগাতার ব্ল্যাকমেইলিং-এর শিকার ওই নারী। মাসে পর মাস ধরে চলে ধর্ষণ এবং জোর করে নগদ অর্থ আদায়। ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলেও করা হচ্ছে হেনস্তা।
এদিকে পল্লবী থানার এসআই মোঃ সজিব খান, এএসআই আজগর মোল্লা ও এএসআই আব্দুস সাত্তর এর সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম গত ৩১ মেয়ে নোয়াখালী সোনাইমূড়ী থানাধীন পশ্চিম দৌলতপুর গ্রামের নজির আহেম্মেদ হাজির বাড়ীর আবু তাহেরের ঘর হতে এ মামলার পালাতক প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ বলছে ঘটনার সময় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যামে সূত্রে বর্ণিত মামালার এজহারনামীয় পলাতক আসামী মাহাবুব আলম,এসএম সজিব ও টিকটক সজিব বাদীকে সু-কৌশলে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে মোবাইল ও ল্যাপটপ এর মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে রাখে।
আসামী উক্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বাদীর আত্মীয় স্বজনদের কাছে প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সময় বাদীর সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে ৷ সংশ্লিষ্ট ঘটনায় বাদী থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে উক্ত মামলা রুজু করা হয় ৷ মামলা রুজু হওয়ার পরপর পল্লবী থানা পুলিশ ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের এবং আসামীর গ্রামের বাড়ী নোয়খালীতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
আসামী পলাতক হওয়ায় পল্লবী থানা পুলিশ গত ৩০ মেয়ে আসামীকে গ্রেফতারের জন্য নোয়াখালী জেলায় অভিযান চালায় আসামি নিজের ব্যবহৃত মোবাইল সিম অন্য জনকে দিয়ে ব্যবহার করায় এবং তার দাড়ী ক্লীনশেভ করে হেয়ার কাট পরিবর্তন করে এবং তার নিজ গ্রাম থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে তার নাম পরিচয় গোপন করে অন্য নাম ঠিকানা ব্যবহার করে ছদ্মবেশ ধারন করে ও আত্মগোপন করে। এসআই সজিব ও তার টিম উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও সু-কৌশলে ৩১ মেয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ।