সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলার করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণের হার একদিনে ৫৩ শতাংশে ঠেকেছে। এ অবস্থায় শনিবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য জেলায় বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী অঞ্চলে মারা গেছেন আরো ৯ জন। এর মধ্যে শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জেরই ৫ জন।
সাতক্ষীরা: সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরার করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ জনের করোনা পরীক্ষায় করে ৫০ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। করোনা শনাক্তের হার ৫৩ শতাংশ। ২৯৫ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্য ৫২ জন করোনা পজিটিভ।
সাতক্ষীরা জেলার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়েত বলেন, জেলায় পরিস্থিতি খারাপ, যে পরীক্ষাগুলো করা হচ্ছে পজিটিভ রিপোর্ট বেশি আসছে।
রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে একদিনে ৯ জন করোনায় মারা গেছেন। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫ জন, রাজশাহীর দুজন এবং নওগাঁ ও পাবনার একজন করে রয়েছেন। একদিনে নমুনা পরীক্ষায় ২৬৪ জনের মধ্যে ৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ৪০ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি আছেন উপসর্গ নিয়ে ২২৪ জন।
নওগাঁ: এদিকে করোনায় আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায় নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় এক সপ্তাহের বিশেষ লকডাউন শুরু হয়েছে। বর্তমানে জেলায় ৬৩ জন করোনা রোগী ও উপসর্গ নিয়ে ১১০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। জেলায় সংক্রমণের হার প্রায় ৩৯ শতাংশ।
নওগাঁর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি খারাপ জন্য পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সবার চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জেলায় ৭ জুন পর্যন্ত দুই সপ্তাহের জন্য বিশেষ লকডাউন চলছে। সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২০ জন রোগী। এখানে কোনো আইসিইউ ব্যবস্থা নেই
দিনাজপুর: উত্তরের সীমান্ত জেলা দিনাজপুরে ২৪ ঘণ্টায় ১৬১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৫ পজিটিভ হয়েছেন। সংক্রমণের হার প্রায় ২৬ শতাংশ।
যশোর: যশোরের করোনা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের ২৪০ জনের নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৬০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশ।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় ৩৩ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৭ জন, নাটোরে ১৪ জন, জামালপুরে ১৩ করোনা শনাক্ত হয়েছেন।