নওগাঁর ‘বদলগাছী সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুল’ এর জায়গা ভাড়া নিয়ে ‘আলফা ক্যাডেট একাডেমি এন্ড হাইস্কুল’ এর শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। সরকারি ওই বিদ্যালয়ের জায়গায় আরেকটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বির্তক শুরু হয়েছে। ভাড়ার টাকা কোন ফান্ডে জমা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, একসময় বদলগাছী সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুলটি বেসরকারি ছিল। ২০১৮ সালের ২১ মে স্কুলটিকে সরকারি ঘোষণা করা হয়। বিদ্যালয়টি বেসরকারি থাকা অবস্থায় উন্নয়নের জন্য পাশের ফাঁকা জায়গাটি ম্যানেজিং কমিটি আলোচনা সাপেক্ষে রেজুলেশন করে ২০০৮ সালে মাসিক ২ হাজার ৬০০ টাকা হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের জায়গাটিতে স্থাপনা করতে প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। পরবর্তীতে ভাড়া থেকে অর্ধেক টাকা করে বাদ দেওয়ায় স্থাপনাটি এখন বিদ্যালয়ের। কয়েক দফা ভাড়া বৃদ্ধি করে বর্তমানে ৫ হাজার টাকা ভাড়া দিচ্ছে ‘আলফা ক্যাডেট একাডেমি এন্ড হাইস্কুল’ এর পরিচালক।
আলফা ক্যাডেট একাডেমি এন্ড হাইস্কুল এর পরিচালক আতোয়ার রহমান বলেন, ২০০৮ সালে কমিটি রেজুলেশন করে মডেল পাইলট হাইস্কুলের জায়গা আমাকে ভাড়া দিয়েছে। সেই থেকে ভাড়া নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। আমার প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী আছে। করোনার মধ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। গত প্রায় দেড় বছরের ভাড়া বকেয়া পড়েছে। ভাড়া পরিশোধের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তারপর দুই মাসের ভাড়া বাবদ ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। এখন যদি কর্তৃপক্ষ আমাকে চলে যেতে বলে তাহলে অনত্র চলে যেতে হবে।
বদলগাছী সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুল এর প্রধান শিক্ষক সুরেশ সিংহ বলেন, বিদ্যালয়ে যোগদানের অনেক আগেই ভাড়া দেওয়া ছিল। এখন অবধি সেভাবে চলছে। তবে আমাদের বিদ্যালয়টি সরকারি হওয়ায় আর আগের নিয়মে ভাড়া দেওয়া সম্ভব না এবং ওই প্রতিষ্ঠানটি রাখা যাবে না। তিনমাসের নোটিশ করে তাদের ছেড়ে দিতে বলা হবে।
তিনি বলেন, ভাড়া তুলে স্কুলের সাধারণ ফান্ডে জমা রাখা হয়। সর্বশেষ গত ২২ সেপ্টেম্বর ১০ হাজার টাকা ভাড়া ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। টাকা নয়ছয় করার কোনো সুযোগ নেই। যেহেতু বিদ্যালয়টি সরকারি হয়েছে ভাড়ার টাকা ট্রেজারির মাধ্যমে সরকারি ফান্ডে দেওয়া হবে।
বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও বিদ্যালয়ের সভাপতি আলপনা ইয়াসমিন বলেন, শুনেছি ‘আলফা ক্যাডেট একাডেমি এন্ড হাইস্কুল’ কে অনেক আগে থেকে জায়গাটি ভাড়া দেওয়া আছে। এখন যেহেতু সরকারি হয়েছে, ওই প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়ার সুযোগ নেই। টিচার্স কাউন্সিল মিটিং এবং রেজুলেশন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যেখানে শিক্ষা কার্যক্রমের বিষয় জড়িত। জায়গা ছেড়ে দেওয়ার আগে অবশ্য তাদের সময় দেওয়া হবে। এছাড়া ভাড়া বাবদ কি পরিমাণ টাকা জমা হয়েছে তা খোঁজ নেওয়া হবে।