তালেবান বিরোধী নর্দান অ্যালায়েন্সের অন্যতম নেতা এবং আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ এর ভাই রোহুল্লাহ আজিজিকে হত্যা করার পর তালেবান যোদ্ধারা তাকে দাফনও করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
রহুল্লার দেহ এখনও তালিবদের কব্জায় রয়েছে। দেহ ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সালেহ্ পরিবারের তরফে তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেবে না।
পাঞ্জশির উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় এখনও তালেবান ও উত্তরের জোটের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। বৃহস্পতিবার রাতেও আমরুল্লার লোকজনের সঙ্গে তালেবান যোদ্ধাদের লড়াই হয়েছে। ওই সময়ে পাঞ্জশির ছেড়ে কাবুলে যাওয়ার পথেই তালেবানের আক্রমণে নিহত হন রহুল্লা। রোহুল্লাহও পাঞ্জশিরে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেওয়া তালেবানবিরোধী বাহিনীর অন্যতম নেতা ছিলেন। শুক্রবার তার ভাতিজা তালেবানের হাতে তার মৃত্যুর খবর জানান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে।
তালেবানবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকা আফগানিস্তানের শেষ প্রদেশ পাঞ্জশিরের রাজধানী বাজারাকের পতনের কয়েকদিন পর রোহুল্লাহকে হত্যার এ খবর এল।
রোহুল্লাহ ভাতিজা এবাদুল্লাহ সালেহ রয়টার্সকে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ‘তারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে। গতকাল তারা তাকে মেরে ফেলে। তারা তাকে দাফন করতেও দিচ্ছে না। তার লাশ পঁচে যাক, এমনটাই বলে যাচ্ছে তারা’।
রোহুল্লাহ’র ভাই আমরুল্লাহ সালেহকে তালেবানরা এখনও ধরতে পারেনি। সালেহ এখন ঠিক কোথায় আছেন, তাও স্পষ্ট নয়। আমরুল্লাহ গত মাসে ক্ষমতাচ্যুত যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত আফগান সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটির প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তালেবানবিরোধী বাহিনীগুলো আহমাদ মাসুদের নেতৃত্বে ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (এনআরএফ) ব্যানারে পাঞ্জশিরে প্রতিরোধ যুদ্ধ করেছিল।
কয়েকদিনের তুমুল লড়াই শেষে গত সপ্তাহে বাজারাকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেয় কট্টরপন্থি গোষ্ঠী তালেবান।
এনআরএফ পরে জানায়, পানশিরের রাজধানীর পতন হলেও তালেবানের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।