সংবাদ প্রকাশের পর ৮১ বছরের বৃদ্ধ তাঁত শ্রমিক সাদেক আলীর মুখে হাসি ফুটেছে। তাকে আর তাঁতের কাজ করতে হবে না। এখন তিনি মনোহরি দোকানের মালিক।
সাদেক আলী মোল্লা সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার সীমান্তবর্তী দৌলতপুর মতি মার্কেট এলাকার মৃত হাজী বাহেজ উদ্দিনের ছেলে। ৮১ বছর বয়সি এই বৃদ্ধ ৩৫ বছর ধরে জীবিকার তাগিদে তাঁত শ্রমিকের কাজ করেন। স্ত্রী, ৫ মেয়ে ও ১ ছেলেসহ তার সাত সদস্যের পরিবার।
গত ১ অক্টোবর আর্ন্তজাতিক প্রবীণ দিবসে সাদেক আলীকে নিয়ে সাদেক আলীর ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতা শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর অনেকে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্থানীয় সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস কয়েকজনের সহায়তায় সাদেক আলীকে ৭০ হাজার ২০০ টাকা সমমূল্যের উপহার প্রদান করেছেন।
শুক্রবার সকালে সাদেক আলীকে একটি দোকান ঘর, চায়ের ফ্লাক্সসহ বিক্রির জন্য পানীয় ও মনোহারি দ্রবাদি ক্রয় করে দেওয়া হয়। এ সময় সমাজ সেবক হাজী আবদুল মমিন, যুগান্তর প্রতিনিধি ও এনায়েতপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিক মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বৃদ্ধ সাদেক আলী বলেন, আমার দুর্দশার কথা তুলে ধরায় এ সহায়তা পেয়েছি। জীবনের শেষ সময়ে এসে হলেও কষ্টের তাঁতের কাজ ছেড়ে দিতে পারছি। এই সহায়তা পেয়ে আমি খুব খুশি।
সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস বলেন, পত্র পত্রিকার মাধ্যমে সাদেক আলীর খবরটি জানতে পারি। পরে কয়েকজনের সহায়তায় তাকে নগদ অর্থ, দোকান ঘরসহ মনোহারি দ্রব্যাদি কিনে দিয়েছি। এছাড়া এক শিল্পপতি ও প্রবাসী প্রতি মাসে সাদেক আলীকে ১ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আশা করছি দোকান করে চাচা শেষ জীবনে একটু হলেও শান্তিতে থাকতে পারবে।