14.7 C
Los Angeles
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৩০, ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪

হৃদয়ের শরীরের মাংস গেল কোথায়, জানাল র‍্যাব

জাতীয়হৃদয়ের শরীরের মাংস গেল কোথায়, জানাল র‍্যাব
খবরটি শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের রাউজানের চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়কে অপহরণ করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় উচিংথোয়াই মারমা এবং ও ক্যাসাই অং মারমা নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। গ্রেফতারের পর র‍্যাবের কাছে জবানবন্দীতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন তারা।

রোববার (১ অক্টোবর) নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

রোববার নগরীর চাঁন্দগাও র‍্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার।

তিনি জানান, নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে উচিং থোয়াই মারমা ও ক্যাসাই অং মারমাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের তারা জবানবন্দী তারা জানান, উচিং থোয়াই মারমা হৃদয়কে জবাই করে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ক্যাসাই অং চৌধুরী হৃদয়ের দুই পা চেপে জবাই করতে সহায়তা করে। মূলত শিবলী সাদিককে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় অংশ নিয়েছিল দশ জন। এর মধ্যে কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল ছয় জন।

তিনি আরও জানান, মরদেহ গুমের জন্য হত্যার পর শরীরের মাংস আলাদা করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়া হয়েছিল। যে কারণে হৃদয়ের শরীরের খণ্ডিত অংশ ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি।

র‍্যাব পরিচালক জানান, মূলত রাউজানে আশরাফ শাহ মাজার এলাকায় মুরগীর ফার্মে কাজ করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ফার্মের ম্যানেজার শিবলীকে অপহরণ করা হয়। গত ২৮ আগস্ট রাউজানের পঞ্চপাড়া গ্রাম থেকে অপহরণ করে উমং চিং মারমা ও তার সহযোগীরা। পরিবারের কাছে দাবি করা হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ। দুই লাখ টাকা দেয়ার পরও মিলেনি মুক্তি। হত্যা করে রাঙ্গামাটির দুর্গম গহীন জঙ্গলে গুম করা হয় শিবলির মরদেহ।

অপহরণের মূল হোতা উমং চিং মারমার দেখানো পাহাড় থেকে ঘটনার ১৪ দিন পর উদ্ধার করা হয়। তবে, পাওয়া গিয়েছিল শুধুমাত্র শিবলীর খণ্ডিত মরদেহ। মরদেহ গুম করার জন্য শরীর থেকে মাংস আলাদা করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়া হয়েছিল বলে জানান র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক।

এর আগে এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। হত্যা করে রাঙ্গামাটির দুর্গম গহীন জঙ্গলে গুম করা হয় শিবলির মরদেহ। অপহরণের মূলহোতা উমং চিং মারমার দেখানো জায়গা থেকে মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছিল। মরদেহ উদ্ধার করে ফিরে আসার পথে উত্তেজিত জনতা গতিরোধ করে পুলিশের দুটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মাইক্রোবাস। ছিনিয়ে নেয় কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয় হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা উমং চিং মারমাকে। গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে।

এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে রাউজান থানায় একটি মামলা করেছিল। নিহত শিবলি কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃত উচিং থোয়াই মারমা হৃদয়কে জবাই করে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ক্যাসাই অং চৌধুরী হৃদয়ের দুই-পা চেপে জবাই করতে সহায়তা করে। মূলত শিবলী সাদিককে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় অংশ নিয়েছিল ১০ জন। এর মধ্যে কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল ছয়জন।

মরদেহ গুমের জন্যই হত্যার পর শরীরের মাংস আলাদা করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়া হয়েছিল। যে কারণে হৃদয়ের শরীরের খণ্ডিত অংশ ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। এর আগে হত্যার ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া মূল আসামী উমং চিং মারমা গণপিটুনিতে নিহত হয়।

আরও খবর পড়ুন

Check out other tags:

পাঠকের পছন্দ

x