ইতালির জন্য হিসাবটা ছিল সোজা। ড্র করলে তো বটেই, এমনকি দুই গোলের ব্যবধানে না হারলেই তারা গ্রুপ সেরা। ফ্রান্সের জন্য চ্যালেঞ্জটা ছিল কঠিন। গ্রুপের সেরা হওয়ার জন্য তো অবশ্যই, পুরোনো একটা হিসাব-নিকাশ মেটানোর জন্যও অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জয় তাদের জরুরি ছিল। কিলিয়ান এমবাপেকে ছাড়া খেলতে নেমেও সব লক্ষ্য পূরণ করে এখন প্রাপ্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত ফরাসিরা।
উয়েফা নেশন্স লিগের দুই নম্বর গ্রুপে ফুটবলের দুই পরাশক্তির লড়াইয়ে রোববার মিলানে ইতালিকে ৩-১ গোলে হারায় ফ্রান্স।
আগের পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত থেকে গ্রুপের শীর্ষে ছিল ইতালি। শেষ ম্যাচের ফলাফলে সব উল্টে দিল ফ্রান্স। ইতালিকে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ দেওয়ার পাশাপাশি নিজেরা পৌঁছে গেল শীর্ষে।
তবে এর চেয়েও বড় একটা লক্ষ্য ছিল ফ্রান্সের। যেটির নাম- প্রতিশোধের অভিযান। আড়াই মাস আগে প্যারিসে গিয়ে ফ্রান্সকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এসেছিল ইতালিয়ানরা। এবার মিলানে গিয়ে ঠিক একই ব্যবধানের জয় দিয়ে ক্ষতে প্রলেপ দিল ফরাসিরা।
ম্যাচ শেষে গোলকিপার মাইক মিয়াঁর কণ্ঠে ফুটে উঠল সেই তৃপ্তিই।
“আমরা জিততে চেয়েছিলাম, প্রতিশোধের লক্ষ্যেই গিয়েছিলাম আমরা। ঘরের মাঠে ওদের কাছে ওভাবে হারার পর আমাদের গর্ব পুনরুদ্ধারের ব্যাপার ছিলৃ।”
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়ের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র ম্যাচে ফ্রান্সের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল অনেক। এমবাপেকে দলে না রাখার আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়ায় বিতর্কের প্রবাহ তো ছিলই। সব কিছুকেই পেছনে ফেলে এই জয়ের দেখা পেল ফ্রান্স।
দুই গোল ফ্রান্সের জয়ের নায়ক আদ্রিয়াঁ রাবিও উচ্ছ্বসিত অনেক দিন পর দলকে মাঠে অপ্রতিরোধ্য চেহারায় দেখে।
“এই ধরনের একটা ম্যাচ খেলতে পারলাম আমরা দীর্ঘদিন পর। আমাদের লক্ষ্য ছিল দুই গোলের ব্যবধানে জেতা। আমাদের আগ্রাসন, দলীয় একতা ও উজ্জীবিত মনোভাব ছিল দারুণ।”
এবার নেশন্স লিগের ম্যাচগুলোকে দল গড়ে তোলা, অনেক তরুণকে পরখ করার মঞ্চ হিসেবে নিয়েছেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ে দেশম। সেই পথচলায় এমন এক জয়ে দারুণ খুশি তিনিও।
“আমাদের স্কোয়াড খুবই তরুণ। অনেক ফুটবলারকে বাজিয়ে দেখতে চেয়েছি আমরা এবং আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ এক ইতালিয়ান দলকে এখানে হারাতে পারা মানে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স।”