রাজধানীর আলোচিত ব্ল্যাড বাবু হত্যা মামলায় কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার মূসাকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সোমবার রাতে মিরপুর ডিবি বিভাগের একটি বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবি সূত্র এবং নিহত ব্ল্যাড বাবুর স্ত্রীর বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ডিবি কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর একটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
পূর্বে আলোচনায় আসা ও বিদেশে পালানো:
কিলার মূসা এর আগে মতিঝিল এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ছিলেন। ঘটনার পরপরই সে দেশ ত্যাগ করে দুবাইয়ে পালিয়ে যায়। পরে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দেশে ফিরে জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত হয় সে।
চাদাবাজি, সন্ত্রাস ও হত্যার সাথে পুনঃযুক্তি:
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কিলার মূসা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আবারো চাঁদাবাজি, অস্ত্র ব্যবসা ও হত্যাসহ নানা অপরাধে যুক্ত হয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের তথ্য উঠে আসে। সম্প্রতি পল্লবী এলাকায় আলোচিত ব্ল্যাড বাবু হত্যা মামলায় তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে ধরতে তৎপর হয় ডিবি পুলিশ।
ব্ল্যাড বাবু হত্যাকাণ্ড: পটভূমি:
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্ল্যাড বাবু ছিলেন পল্লবী এলাকার একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকাভিত্তিক চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি প্রতিপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে জড়ান তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, সেই বিরোধের জের ধরেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ:
ডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিলার মূসার বিরুদ্ধে পূর্বের মামলাগুলো পুনরায় সক্রিয় করা হবে। একইসঙ্গে ব্ল্যাড বাবু হত্যা মামলার তদন্ত আরও গভীরভাবে করা হবে এবং তার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
নিহত ব্ল্যাড বাবুর স্ত্রী জানান, আমার স্বামীর হত্যাকারী অবশেষে ধরা পড়েছে। আমি চাই এই সন্ত্রাসীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক যাতে আর কোনো পরিবারকে এমন পরিণতি দেখতে না হয়।