ধানমন্ডির ‘মাহবুব ভবন’ থেকে গুলশানের ‘ফিরোজায়’ ফেরার পথে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে জোবাইদা রহমানের এক ঘণ্টার বেশি যানজটে আটকা থাকার তথ্য দিয়েছেন তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।
তারা বলছেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রা শুরু করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। কিন্তু তার গাড়িবহর সংসদ ভবনের পাশে, মনিপুরীপাড়ার কাছে এবং বিজয় সরণিতে যানজটে আটকা পড়ে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা বাহিনীর (সিএসফএফ) একজন সদস্য বলেন, “সাধারণ যানবাহনের সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তার গাড়িগুলো ছিল।
“সাধারণ যান থামিয়ে হুইসেল বাজিয়ে দ্রুত যাওয়াটা নিষেধ ছিল। আমরা সাধারণ পরিবহনের সঙ্গে আস্তে আস্তে যানজট পার হই, যেন সাধারণ যাত্রীরা বিরক্তিবোধ না করেন।”
তিনি বলেন, “ধানমন্ডি থেকে রওনা হই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে। গুলশানে ম্যাডামের বাসায় পৌঁছাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে।”
এর আগে সকাল ১১টার দিকে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বের হন জোবাইদা রহমান। তার সামনে-পেছনে নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি ছিল। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পাশাপাশি পুলিশ বাহিনী থেকে আলাদা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দুপুরে বাবা সাবেক নৌপ্রধান মাহবুব আলী খানের বাসায় যান তিনি। জুম্মার নামাজ পড়েন ধানমন্ডির একটি মসজিদে।
বাবার বাড়ি ‘মাহবুব ভবনে’ মা ইকবাল মান্দ বানুসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান জোবাইদা রহমান।
তার নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সবসময় থাকছেন অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলাম শামস ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমনসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা।
মঙ্গলবার লন্ডন থেকে শাশুড়ি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঢাকায় ফেরেন জোবাইদা রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান। গুলশানে ফিরোজায় শাশুড়ির সঙ্গেই থাকছেন তারা।
দেশে ফেরার আগে জোবাইদার জন্য চার ধরনের নিরাপত্তা চেয়ে আইজিপিকে চিঠি দেয় বিএনপি।
এর মধ্যে রয়েছে- সশস্ত্র ‘গানম্যান’, গাড়িসহ ‘পুলিশ প্রটেকশন’, বাসায় পুলিশি পাহারা এবং বাসায় আর্চওয়ে স্থাপন।