রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনীতিবিদদেরই করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের পরিচিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনীতির বাইরে থেকে যে সংস্কার আসে সেটার বাস্তবতার সঙ্গে অনেক অমিল থাকে। এই কারণে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনীতিবিদদের করতে হবে। যেহেতু আমরা সবাই একমত হয়েছি, একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের বিষয়ে- আমরা সে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। আপনারা যারা দায়িত্ব পেয়েছেন, একসঙ্গে বসেন, দেখেন কোন শব্দটা ভুল, কোনটা বানান ভুল। তারপর জাতির সামনে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, একটা সংগঠন নিষিদ্ধ হয়েছে, কিন্তু তাদের তো কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছে না। সবাই তো আরাম-আয়েশে ঘোরাফেরা করছে। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পরে জাহাঙ্গীর কবির নানক ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দিয়েছেন, এই বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার কতটুকু যৌক্তিক?
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৭ দফা রাষ্ট্র কর্মসূচি জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, আমরা তখন যুগপৎ আন্দোলন করলাম, সকল দলের মতামতের ভিত্তিতে সেটাকে আরও পরিমার্জিত করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব জাতির সামনে তুলে ধরেছি। সেটা এই সরকার পতনের আগে যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। সুতরাং নতুন সংস্কারের গীতিকারের প্রয়োজন নেই। সুতরাং সংস্কার কার্যক্রম মাসের পর মাস প্রয়োজন নেই। কারণ সেই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে কমপক্ষে ৪০টি দল একমত হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, তারেক রহমান বলেছেন- দেশে নারী ও শিশুরা যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছে তাদের রক্ষায় একটি কমিটি করেন। তার ধারাবাহিকতায় আমরা কমিটি করে যেখানে নারী নির্যাতন হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়েছি।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী।