ঢাকা: দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। যা নির্মাণে সহযোগিতা করছে রাশিয়া। গড়ে উঠেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতের সম্পর্কও। চুক্তি হয়ে রয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য, অর্থনীতি, বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি বিষয়ে আন্ত:সরকার কমিশনের। রাশিয়া চায় বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে সহযোগিতা বাড়াতে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করে এ আগ্রহের কথা জানান, ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মন্টিটস্কি।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। তিনি বলেন, রাশিয়া সরকার কোনো সংবাদপত্রে দেখেছেন অবকাঠামো খাতে আমাদের একটা মাস্টারপ্ল্যান রয়েছে। সেখানে তাদের সুবিধামত কাজ করতে চায়। এখানে সমস্যা হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে আসলে এই মুহূর্তে সহজে লেনদেন করা কঠিন। আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রক্রিয়া আছে। আমরা একটা বড় পরিকল্পনা করতে যাচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, তাদের ওখানে আমাদের কৃষি পণ্য রয়েছে, তারা যেগুলো আমদানি করে, সেগুলো যাতে সহজলভ্য হয়, সে ব্যাপারে আমাকে অনুরোধ করেছেন। এখানে সমস্যা হচ্ছে, রাশিয়ার সঙ্গে কোনো বিনিময় এবং এমনকি আমাদের যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লি, যেটি উদ্বোধনে ভার্চুয়ালি প্রেসিডেন্ট পুতিনও অংশ নিয়েছেন, সেটির যন্ত্রপাতি আনতে গিয়ে আমরা বাঁধার মুখে পড়েছি। এই মুহূর্তের রাশিয়ার সঙ্গে সহজে লেনদেন করা কঠিন।
ওবায়দুর কাদের বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব থাকবে, কিন্তু আমেরিকাকে সরাসরি হোস্টাইল (বৈরী) করে বন্ধুত্ব আমরা চাই না। আমরা সবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাই। আমাদের যে সম্পর্ক আছে, সেটার উন্নয়ন করতে চাই। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন। এখানে একটা অঙ্গীকার আছে। আমরা কারও সঙ্গে হোস্টাইল অ্যাটিটিউডে (প্রতিকূল মনোভাব) যেতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, আরেকটি বিষয় কথা হয়েছে, দৃশ্যপট কখন কী হয়, সেটা সত্য কথা, আমেরিকার নির্বাচনে কী ফল আসবে, সেটা এখন পর্যন্ত পরিষ্কার না। পত্রপত্রিকায় দেখি যে ট্রাম্পই রিপাবলিকানদের নমিনেশন পেতে যাচ্ছে। আবার জনমত জরিপেও তিনি পিছিয়ে আছেন। কাজেই ২০২৪ সালে আমেরিকার ফল কী হবে, এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।