একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) তার সাহাবীদের সাথে বসে ছিলেন। তখন এক মহিলা তার সন্তানসহ রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে বললেন, “আমার ছেলে খুব অসুস্থ, তার জন্য দোয়া করুন।” রাসুল (সা.) তা শুনে ধৈর্য সহকারে তাকে সাহস দিয়ে বলেন, “ধৈর্য ধারণ করো, তোমার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে।” এভাবে, রাসুল (সা.) তার সহানুভূতির মাধ্যমে মায়ের মনে শান্তি এনে দেন।
হাদিস: “ধৈর্য রাখো, কারণ তোমার জন্য পুরস্কার আছে।”
(সহীহ মুসলিম)
একদিন, এক সাহাবী রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে বললেন, “হে আল্লাহর রাসুল, আমি খুব দুঃখিত, কিছু ঋণ থেকে মুক্তি পেতে আমি কষ্ট পাচ্ছি।” রাসুল (সা.) তাকে সাহস দিলেন এবং বললেন, “অন্যদের সাহায্য করা হলো আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ভালো কাজ।” সাহাবী তারপর মানুষদের থেকে ঋণ আদায় করতে লাগলেন, এবং আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছিলেন।
হাদিস: “যে ব্যক্তি মানুষের ঋণ পরিশোধে সাহায্য করে, আল্লাহ তার জন্য আসমানে পথ খুলে দেন।”
(সহীহ বুখারি)
আবু হুরায়রা (রা.) একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এলেন এবং তাকে প্রশ্ন করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল, কীভাবে আমি আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারি?” রাসুল (সা.) তাঁকে বললেন, “তুমি যখন তোমার দিনমানের কাজগুলো করো, তখন আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করো এবং মানবতার সেবা করো।”
হাদিস: “আল্লাহ সবচেয়ে বেশি খুশি হন, যখন তাঁর বান্দা দুনিয়ার জন্যে না, বরং পরকালীন ভালো কাজের জন্য পরিশ্রম করে।”
(সহীহ মুসলিম)
এক সাহাবী একদিন রাসুল (সা.) এর কাছে এসে বললেন, “হে আল্লাহর রাসুল, আমি কিছু দিন যাবৎ এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছি, কিন্তু আমি জানি না আমার কাজের ফলাফল কী হবে।” রাসুল (সা.) তাকে জানালেন, “তুমি যদি তোমার কাজ খলাসের সাথে করো, তাহলে আল্লাহ তোমাকে সফল করবেন।”
হাদিস: “তোমার কাজের প্রতি আন্তরিকতা থাকলে, আল্লাহ তা গ্রহণ করবেন।”
(সহীহ মুসলিম)
একদিন, রাসুল (সা.) বললেন, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যারা ভালো কথা বলেন এবং কাউকে কষ্ট না দেন।” একজন সাহাবী বললেন, “হে আল্লাহর রাসুল, তুমি কি আমাদের এইভাবে আত্মবিশ্বাসী হতে বলছো?” রাসুল (সা.) তাঁর চোখে মিষ্টি হাসি নিয়ে বললেন, “হ্যাঁ, কারণ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ভালো কাজ হলো মানুষের সাথে সদাচরণ।”
হাদিস: “যে ব্যক্তি মানুষের হৃদয় জয় করতে পারে, তার থেকে ভালো কেউ নেই।”
(সহীহ বুখারি)
একদিন, একজন সাহাবী রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে বললেন, “হে আল্লাহর রাসুল, আমি কিছু খারাপ কাজ করেছি, তবে আমি আল্লাহর কাছে তাওবা করতে চাই।” রাসুল (সা.) তাকে বললেন, “তোমার তাওবা যদি আন্তরিক হয়, তাহলে আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন।”
হাদিস: “যে আল্লাহর কাছে তাওবা করে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।”
(সহীহ মুসলিম)
একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) এক সাহাবীকে দেখে বললেন, “তুমি যদি কঠিন সময়ে ধৈর্য ধারণ করো, তাহলে আল্লাহ তোমাকে প্রতিদান দিবেন।” ওই সাহাবী বললেন, “হে আল্লাহর রাসুল, আমি কঠিন সময়ে ধৈর্য ধারণ করতে চেষ্টারত।”
হাদিস: “ধৈর্য ধারণ করো, আল্লাহ তোমাকে প্রতিদান দেবেন।”
(সহীহ বুখারি)
একদিন, রাসুল (সা.) এর কাছে এক সাহাবী এসে বললেন, “হে আল্লাহর রাসুল, আমি দুনিয়ার জীবন থেকে নিরাশ।” রাসুল (সা.) তাকে বললেন, “যদি তুমি দ্বীনের পথে থাকো, তবে পৃথিবীর সমস্ত কিছুই তোমার জন্য উপকারে আসবে।”
হাদিস: “যে আল্লাহর পথে থাকে, আল্লাহ তাকে সমস্ত কিছুর মধ্যে সফলতা দেন।”
(সহীহ মুসলিম)
এই হাদিসগুলোর মাধ্যমে আমাদের জীবনে সুন্দর শিক্ষার বার্তা আসে, যা আমাদের চরিত্র, মনোভাব এবং বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে তোলে।