সাবেক ছাত্রনেতা, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সহ-সভাপতি, এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সম্মানিত সদস্য হামিদুর রহমান হামিদ, যিনি ঢাকা-৭ আসনের এক উজ্জ্বল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন নেতা নন, বরং একজন মানবিক, কর্মীবান্ধব ও জনদরদী ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার নেতৃত্বে দলের প্রতি আনুগত্য, জনগণের প্রতি ভালোবাসা এবং দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণে অবদান রাখার এক দৃঢ় প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন দেখা গেছে।
হামিদুর রহমান হামিদ বিশ্বাস করেন, রাজনৈতিক ক্ষমতা কেবলমাত্র জনগণের সেবার জন্যই ব্যবহার করা উচিত। এই বিশ্বাসকে বাস্তবে রূপ দিতে তিনি সবসময় অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণের পাশে থেকেছেন। তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। তার নিরলস প্রচেষ্টায় ঢাকা-৭ আসনে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে হামিদুর রহমান হামিদ দলের স্বার্থ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করেছেন। দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং দলীয় কর্মীদের মনোবল দৃঢ় রাখতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির যে সুসংগঠিত রূপ গড়ে উঠেছে, সেই রূপদান প্রক্রিয়ায় হামিদুর রহমান হামিদের অবদান অনস্বীকার্য। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত বিএনপি’র সংগ্রামে তিনি সর্বদা সক্রিয় থেকেছেন।
৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকার প্রধান শেখ হাসিনার পালানোর পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন মোড় নেয়। দেশের জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলনে নামে। স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপির সংগ্রাম নতুন মাত্রা লাভ করে। এ সময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে চলে যান, যা তার দীর্ঘদিনের গৃহবন্দি জীবনের পর এক অনিবার্য সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায়। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আপোষহীন অবস্থানে রয়েছে।
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে হামিদুর রহমান হামিদ বলেন, “ঈদ আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে আসে। এই আনন্দের দিনে আমরা যেন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়াই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। ঈদুল ফিতরের এই শুভলগ্নে আমি দেশবাসীসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে শান্তি ও সমৃদ্ধি দান করুন।”
তার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে বিএনপি এখন আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি শুধু একজন নেতা নন, বরং একজন আদর্শ কর্মীও। কর্মীদের প্রতি তার অঙ্গীকার, দলীয় ঐক্যের প্রতি তার দায়বদ্ধতা এবং জনগণের কল্যাণে তার আত্মনিবেদন তাকে একজন সত্যিকারের মানবিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।